স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মোঃ সাইদুর রহমান বলেছেন, হাসপাতালের জরুরি বিভাগ রোগী সেবার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তিনি বলেন, “এখানে যেমন রোগীরা দৌড়ে আসে, তেমনি চিকিৎসক ও নার্সদেরও সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে। এটি স্বাস্থ্য বিভাগের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।”
শনিবার দুপুরে বাগেরহাট ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল চত্বরে অনুষ্ঠিত ‘স্বাস্থ্যসেবায় কমিউনিটির সম্পৃক্ততা’ বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সচিব আরও জানান, বাগেরহাট সদর হাসপাতালে বর্তমানে এমআরআই ও সিটি স্ক্যান মেশিন নেই। তবে সুযোগ পেলে অল্প সময়ের মধ্যেই এই দুই গুরুত্বপূর্ণ মেশিন সরবরাহ করা হবে। তিনি জানান, হাসপাতালের আইসিইউ ইউনিট একবার চালু ছিল, জনবল সঙ্কটে তা বন্ধ রয়েছে। পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও নার্স পাওয়া গেলে সেটি পুনরায় চালু হবে। চিকিৎসক সংকট নিরসনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসও দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খুলনা স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ডা. মোঃ মুজিবুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মোঃ আবু জাফর, সাবেক সচিব ড. মোঃ মশিউর রহমান, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা কৃষিবিদ শামীমুর রহমান, ডা. ফরিদুল ইসলাম, হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমার সমাদ্দার, সমাজসেবক রফিকুল ইসলাম জগলু, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এটিএম আকরাম হোসেন তালিম, সাবেক সভাপতি এম এ সালাম প্রমুখ।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. আ.স.ম মোঃ মাহবুবুল আলম, বিএনপি নেতা মনিরুল ইসলাম খান, খাদেম নেয়ামুল নাসিরসহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা। বক্তারা বাগেরহাটের স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে বিভিন্ন পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
এর আগে সচিব মোঃ সাইদুর রহমান জেলা হাসপাতাল পরিদর্শন করেন এবং নতুন অপারেশন কমপ্লেক্স উদ্বোধন করেন। পরে তিনি সদর উপজেলার বেশরগাতি এলাকায় লতিফ মাস্টার ফাউন্ডেশনের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ক্যাম্প এবং জেলা শহরের কয়েকটি বেসরকারি ক্লিনিক পরিদর্শন করেন।